মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন

কঠোর লকডাউন মানছে না রাণীশংকৈলের মানুষ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউন দিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু লকডাউনে বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক পরছেন না। দোকানপাট, কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউই। কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। শহরে ঢিলেঢালাভাবেই পার হচ্ছে সাত দিনের লকডাউনের দিন।

গত বুধবার এক বৈঠকে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জেলায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৩০৮৪ জন এবং মৃত্যু ৭৩ জন, যাদের মধ্যে ১৭২৪৮ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাণীশংকৈলে সোমবার লকডাউনের পঞ্চম দিন চলছে। শহরের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসানো হলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করছে। সকাল থেকেই চলছে ইজিবাইক, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন।

শহরের চৌরাস্তা বাজারসহ আশেপাশের মোড়ের দোকানপাটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। সেখানে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। বাজারে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে দু-একজন বলেন, মাস্ক পকেটে আছে। বেশি ভিড় দেখলেই পড়বেন। কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। শহরের শিবদিঘী, বন্দর বাজারের মাছের পাইকারি আড়ত, মাংসের দোকান ও সাধারণ পাঠাগারের আমের বাজারে লোকজনের সমাগম দেখা গেছে। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন দোকানগুলোতে মানুষকে গাদাগাদি করে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করতে দেখা গেছে। লকডাউন ঘোষিত শহরের বন্দর মাছের আড়তে গাদাগাদি করে মাছ কিনছেন ক্রেতারা। এসব দেখে মনে হচ্ছে কোন প্রকার করোনা নেই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। শহরের প্রধান সড়কে একাধিক স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও অনেক মানুষ বাইরে ঘোরাফেরা করছে। অনেক দোকানে হাফ সাটার খুলে বিক্রয় করতে দেখা গেছে।

তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার মোঃ ফিরোজ আলম বলেন, করোনা সংক্রমণের এ হার উদ্বেগজনক। কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা না গেলে সংক্রমণের হার কমবে না। মহামারির এ দুঃসময়ে উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com